লেখকের কথা
শহীদ হাসানুল বান্না- একটি সংগ্রামী জীবনের নাম। মিসরের নীল নদের পাদদেশে যিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি চরিত্র, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন সবাইকে। শিক্ষা জীবনের ধাপ পেরিয়ে শিক্ষকতার মহান পেশাকে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছাত্রজীবনে পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি করেছিলেন ঘড়ি মেরামতের কাজ।
শহীদ হাসানুল বান্না সারাটি জীবন মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকেছেন। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর উপর তিনি প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তিনি মানুষকে দাওয়াত দিয়েছিলেন কপিশপে, মসজিদে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং হাট-বাজারে। মুসলমানদের আল্লাহর পথে আন্দোলন করার জন্য তিনি ডাক দিয়েছেন। ইসলাম শুধুমাত্র আচার-অনুষ্ঠান সর্বস্ব কোন ধর্ম নয়, বরং পরিপূর্ণ জীবন বিধান। একথা উদাত্ব কণ্ঠে ঘোষণা করেন। তিনি গঠন করেছিলেন ‘ইখওয়ানুল মুসলিমিন।’
তার এই দাওয়াতে ও সংগঠনের কাজকে তৎকালীণ শাসক গোষ্ঠি মেনে নিতে পারেনি কিছুতেই। তাই ১৯৪৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী তাকে প্রকাশ্য রাজপথে গুলী করে শহীদ করা হয়। শহীদ হাসানুল বান্না আজ নেই। কিন্তু তার রেখে যাওয়ার কাজ ও জীবনাদর্শ আমাদের নিকট বিদ্যমান।
তার এই জীবনাদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে হবে আমাদরকে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শহীদ হাসানুল বান্নার মতই শপথ নিতে হবে শহীদ হবার।
নূর মোহাম্মদ মল্লিক
৫৬ সিদ্বেশীরী লেন ঢাকা।